শান্তিগঞ্জের কাচির ভাঙ্গা হাওর
৩০ একর জায়গা দখল করে মৎস্য নিধনের অভিযোগ
- আপলোড সময় : ১৯-১১-২০২৫ ০৪:১৫:০২ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৯-১১-২০২৫ ০৪:১৫:০২ পূর্বাহ্ন
শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি ::
শান্তিগঞ্জ উপজেলার কাচির ভাঙ্গা হাওরের ভাই-বোনের খাল জলমহালের ভিতরে প্রায় ৩০ একর জায়গাজুড়ে অবৈধ বেড়া দিয়ে মৎস্য আহরণ করছে ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের একটি প্রভাবশালী চক্র। এ ঘটনায় হরিনগর সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ স¤পাদক ও হরিনগর গ্রামের বাসিন্দা শফিক মিয়া শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলাধীন দরগাপাশা ইউনিয়নের হরিনগরে ভাই-বোনের খাল জলমহালটি স্থানীয় উপজেলা প্রাশাসন থেকে ১৪৩১-১৪৩৩ বাংলা পর্যন্ত হরিনগর সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে বন্দোবস্ত নেয়া হয়। চলতি বছর জলমহালের আশপাশে বাঁশ-কাঁটা দিয়ে সমিতির মৎস্যজীবী লোকজন মৎস্য আহরণ করার প্রস্তুতি নেন। গত ২/৩ দিন আগে ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের প্রভাবশালী আবুল খায়ের, আবুল হাসনাত, মিলন মিয়া, গৌছ আলীসহ একটি প্রভাবশালী চক্র ভাই-বোনের খাল জলমহালের আশপাশে কাচির ভাঙ্গা হাওরের প্রায় ৩০ একর জায়গাজুড়ে নেট জাল দিয়ে বেড়া দেয় এবং নেট জালের ভিতরে অবৈধ চায়না দুই দুয়ারী জাল দিয়ে মৎসা আহরণ করতে থাকে। এতে সমিতির লোকজন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে কাচির ভাঙ্গা হাওরে গিয়ে দেখা যায় যে, কাচির ভাঙ্গা হাওরের ভাই-বোনের খাল জলমহাল এলাকার ঘোড়াডুম্বুর অংশের পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত প্রায় ৩০ একর জায়গাজুড়ে নেট দিয়ে বেড় দেওয়া এবং এর ভিতরে চায়না অবৈধ দুই দুয়ারী নেট জাল দিয়ে ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের মিলন মিয়াসহ তার লোকজন মাছ ধরছেন। কাচির ভাঙ্গা হাওরে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির সীমানা ও জলমহালের কোনো সীমানা না ভাসলেও প্রভাবশালীরা জোরপূর্বক ২/৩ দিন ধরে প্রতিদিন প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার মৎস্য আহরণ করছে বলে অভিযোগ করছেন জলমহালের লোকজন।
ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের মিলন মিয়া জানান, ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের ইউপি সদস্য আকিক মিয়া, নুর মিয়াসহ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকায় লিজ এনেছি। পঞ্চায়েত না বললে আমি বেড় উঠাবো না। বেড় দেয়া জমি আমাদের গ্রামের। তাই গ্রামের পঞ্চায়েত আমাকে লিজ দিয়েছেন।
হরিনগর সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ স¤পাদক ও হরিনগর গ্রামের বাসিন্দা শফিক মিয়া বলেন, কাচির ভাঙ্গা হাওরের জমির আইল এখনো ভাসেনি। জলমহালের এলাকা এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে। ঘোড়াডুম্বুর গ্রামের প্রভাবশালী কিছু মানুষ মিলনকে দিয়ে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ করছে। হাওরের মাধ্যখানে বেড়া দেয়ায় মাছ আমাদের জলমহালে ঢুকতে পারছে না। আমরা হতদরিদ্র মানুষ এবং মৎস্যজীবীগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা লিখিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগটি থানা বরাবরে প্রেরণ করেছি। আইনগতভাবে থানা পুলিশ ব্যবস্থা নিবেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) আব্দুল আহাদ বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। দুইপক্ষকে সন্ধ্যার পর থানায় আসতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ

শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি